সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এরপর থেকে কেবল ব্যাটার হিসেবেই খেলে যাচ্ছেন তিনি। আর উইকেটের পেছনে টি-টোয়েন্টিতে নুরুল হাসান সোহান ও টেস্টে লিটন দাস দায়িত্ব পালন করছেন। বলা হয়ে থাকে, মুশফিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভস সোহানের হাতে দেয় টিম ম্যানেজম্যান্ট।
বিষয়টি ভালোভাবে নেননি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিক। তাই তো হতাশা থেকেই গত সেপ্টেম্বরে ঘোষণা দেন টি-টোয়েন্টিতে তিনি আর কিপিং করবেন না।
উইকেটকিপারের দায়িত্ব থেকে মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
শনিবার বিকেএসপিতে এক অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পাপন, সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, মুশফিকের কিপিং গ্লাভস কেড়ে নেওয়া কারণ কী?
মেজাজ হারিয়ে পাপন বললেন, কিপিং গ্লাভস কেড়ে নেওয়া হয়েছে এটার মানেটা কী? অন্য কোনো খেলোয়াড় কেমন কিপিং করে আমরা কি দেখতে পারবো না? যেই করুক, কোচও যদি করে, ও কি এটা যাচাই করতে পারে না যে আমার আর কি অপশন আছে? একটা দুইটা ম্যাচ করলে অসুবিধাটা কী? ভেতরের খবর তো আপনারা বলেন। আপনারা যখন প্রচার করেন তখন এটা উল্টো হয়। এটা তো সব খেলোয়াড়ের জন্যই থাকা উচিত।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শেষ বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানান, এই ফরম্যাটে আর কোনোদিনই কিপিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে দল। ২৫ দিন পর উল্টো কথা শুনিয়েছেন মুশফিক। যদিও এরপর থেকে আর গ্লাভস হাতে নেননি। তখন থেকে নুরুল হাসান সোহান সামলাচ্ছেন এই দায়িত্ব।
পাপনের ব্যাখ্যা, আমি যদি একজনের জায়গায় আরেকজনকে দেখতে চাই তাতে অসুবিধা কী? তার পজিশন তো নষ্ট হচ্ছে না। সোহান যে কিপিং করলো, ও কি খারাপ করছে? অবশ্যই সে সেরা।
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, একটা জিনিস তো জানি, আমাদের সেরা কিপার এখন সোহান। ও যদি না করতো এটা কীভাবে দেখতাম? আপনারা যদি কাউকে সুযোগই না দেন বা সুযোগ দিলে মাইন্ড করেন তাহলে তো মহাবিপদ। তাহলে তো নতুন কোনো খেলোয়াড়ই আসবে না। এটাতে আমি একমত না।