২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তানকে টুর্নামেন্টের ফেভারিট হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তবে সেবার সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায়ঘণ্টা বেজেছিল বাবর আজমের দলের। তবে সেই আক্ষেপ ২০২২ সালে এসে ঘুচিয়েছে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে।
এই জয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ১৩ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে বড় অবদানই রেখেছেন দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। গড়েছেন ১০৫ রানের জুটি, যার পথে গড়ে ফেলেছেন বড় এক রেকর্ডও।
১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাবর আর রিজওয়ান পাকিস্তানকে দারুণ এক শুরুই এনে দেন। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ছুঁয়ে ফেলেন দলীয় ফিফটির মাইলফলক। তখনই গড়ে ফেলেন রেকর্ডটা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৫০ রানের জুটির রেকর্ডটা এতদিন ছিল বাবর আর রিজওয়ানের কাছেই, তবে সেই রেকর্ডে ভাগ ছিল অইন মরগ্যান আর লুক রাইটের। তাদের সঙ্গী ছিলেন বিরাট কোহলিও। যুবরাজ সিং আর রোহিত শর্মা দুজনের সঙ্গেই তার ফিফটি জুটি ছিল ৪টি।
আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সমতাটাই ভাঙলেন বাবর আর রিজওয়ান। আজকের ফিফটি জুটিসহ বিশ্বকাপে দু’জনের ৫০ পেরোনো জুটির সংখ্যা দাঁড়াল ৫ এ। একটি কম নিয়ে এখন তাদের পেছনে পড়ে গেছে মরগ্যান-রাইট, কোহলি-যুবরাজ আর কোহলি-রোহিতের জুটি।
বাবর আর রিজওয়ান দু’জনই ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন এই বিশ্বকাপে। বাবর করেছিলেন ৩৯ রান, আর রিজওয়ানের সামগ্রিক রান ছিল ১০২। যার প্রভাবটা টের পেয়েছে পাকিস্তানও। ভারতের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও হেরে চলে গিয়েছিল খাদের কিনারেই। শেষমেশ অবশ্য কোনোক্রমে দলটি পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে।
বাবর-রিজওয়ান পুরো বিশ্বকাপে ছন্দে না থাকলেও যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখনই জ্বলে উঠেছেন। দুজনই করেছেন ফিফটি, গড়েছেন রেকর্ড। যাতে ভর করে পাকিস্তান আজ পৌঁছে গেছে ফাইনালে।