ফ্রান্সের প্যারিসে চলমান ম্যাক্রোঁবিরোধী বিক্ষোভে একদিনে ৪৫৭ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৪১ জন পুলিশ সদস্য।
শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমানিন বলেন, দেশজুড়ে প্রচুর বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে এবং সেই সবের মধ্যে কিছু মিছিল সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। গ্রেফতার ও আহতের অধিকাংশ ঘটনায় ঘটেছে প্যারিসে।
সরকারি-আধাসরকারি-বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে পেনশনের বয়স বৃদ্ধি নিয়ে দেশটির সরকারের নেয়া নতুন সিদ্ধান্তে গত প্রায় দু-সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে ফ্রান্সে। দেশটির প্রায় সব বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।
গত দু’মাস ধরে ফ্রান্সে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে এই প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে জনমতও গঠিত হয়েছে। সরকারপন্থীদের দাবি- পেনশনের বয়সসীমা বাড়ালে তা দেশের সার্বিক কর্মসংস্থানে কোনো চাপ ফেলবে না। প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে- সেটি ঠেকাবে।
অন্যদিকে পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলো, কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়ন এবং জনসাধারণের একাংশ সরকারের এই প্রস্তাব নিয়ে একমত হতে পারেনি। গত দু’মাস এ নিয়ে পার্লামেন্টে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়েছে, একাধিক ধর্মঘটও হয়েছে দেশটিতে।
তবে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে গত ১৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার পেনশনের বয়সসীমা বর্ধিতকরণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর। ঐদিন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বাধীন সরকার পার্লামেন্টের সদস্যদের ভোট এড়িয়ে অবসরগ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই রাজধানী প্যারিসসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন নতুন আইন বাতিলের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
সূত্র: আলজাজিরা