বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় সবার জামিনের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তির আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য এবং কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের পরিবার এই আলটিমেটাম দেন।
এ সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে সেনা হত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলোও অন্তর্ভুক্ত করাও কথা জানান চাকরিচ্যুত ও কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের স্বজনরা।
এ দিকে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিরপরাধদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে যমুনায় পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগে পুলিশের বাধা দেয়। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে আজ ভোরের আলো ফোটার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল এবং কারাগারে থাকা সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয় সেখানে। এই মানববন্ধনে সাবেক বিডিআর সদস্যদের পাশাপাশি কারাগারে থাকা পরিবারে লোকজন অংশ নেন।
মানববন্ধনে স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ জানানো হয় বিগত সরকারের নানা সিদ্ধান্তের। বক্তব্যে ফুটে ওঠে গত ১৫ বছরের ক্ষোভ আর নির্যাতনের কত শত গল্প।
বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার নীলনকশার অংশ হিসেবেই ২০০৯ সালে পরিক্ষিত সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। একইসঙ্গে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয় বিডিআর সদস্যদের। সমাবেশ থেকে বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে করা বিস্ফোরক মামলায় সবার জামিনের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে থাকা সদস্যদের মুক্তির আলটিমেটাম দেয়া হয়।
বেলা বাড়তেই দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন সমাবেশে অংশ নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও। তারা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে সেনা হত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলোও অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও তাদের।
এ দিকে সমাবেশ শেষে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। ৬ দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে শাহাবাগে আটকে দেয় পুলিশ।
২০০৯ সালে বিডিআর সদর দফতরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে, আরও ২২৮ জনকে দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, খালাস পান ২৮৩ জন।