৬ষ্ঠ জাতীয় হিফজুল হাদিস প্রতিযোগিতা ২০২৪ -এর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন।

 

 

 

বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ জাতীয় হিফজুল হাদিস প্রতিযোগিতা ২০২৪ -এর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক মাওলানা আসাদুজ্জামান নূর ও সদস্য সচিব হাফেজ আব্দুর রহিমের যৌথ পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবু তাহের জিহাদী (হাফি.)। মুহতামিম, জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদরাসা। প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন, আল্লামা মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন (হাফি.)। মুহতামিম, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম ( আকবর কমপ্লেক্স ) মিরপুর, ঢাকা।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিব্বুল্লাহ বাকী নদভী (হাফি.)। সিনিয়র ইমাম জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শায়খ আবু নোমান মাদানী (হাফি.)। বিভাগীয় প্রধান, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ,  জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া (বড় মাদরাসা) যাত্রাবাড়ী।

মুফতি আ.স.ম আল আমিন (হাফি.)। সাবেক কেন্দ্রীয় আহবায়ক, বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদ।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ হেলাল উদ্দিন। কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক,  বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদ।

মো: জাফর উল্লাহ। আহবায়ক,  কওমী ছাত্রপরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর। হাফেজ ইকরামুল হক।

আহবায়ক,  কওমী ছাত্রপরিষদ ঢাকা মহানগর পূর্ব।

হাফেজ রেজাউল করিম শাফী। জাতীয় হিফজুল হাদিস প্রতিযোগিতা ২০২২ সালের জাতীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জনকারী প্রতিযোগী।

প্রধান অতিথি তার আলোচনায় বলেন, আমি সত্যিই অভিভূত হিফজুল হাদিসের এরকম একটি সুন্দর উদ্যোগ বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদ গ্রহণ করেছেন এবং আমাদের ছাত্ররা অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে এসেছেন।

কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অনেক পরিশ্রমী, মেধাবী এবং যোগ্যতা সম্পন্ন। তারা শরহে জামী ক্লাসে যে পরিমাণ মেধা খরচ করে, জেনারেল শিক্ষার্থীরা পাঁচ বছরেও  এ রকম পরিশ্রম করেনা। এসময় তিনি জেনারেল ও ইসলামী শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদের সকল কার্যক্রমের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও দায়িত্বশীলদের পরিশ্রম কবুলের জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করেন।

প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে হিফজুল হাদিসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সময়ে এধরনের আয়োজন আরো বেশি করা দরকার।

 

তিনি ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাসূল সাঃ এর সুন্নাহ পালন করার উদাত্ত আহবান জানান এবং হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি হিফজুল হাদিস প্রতিযোগিতা আয়োজন করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা খুবই জরুরী। আমরা হাত বাঁধা নিয়ে মতানৈক্য করছি অথচ ইসলামবিরোধীরা আমাদের হাত দুটোই কেটে দিচ্ছেন। তিনি বর্তমান সময়ে সকল বিভেদ ভূলে ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

উল্লেখ্য যে, সারা দেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর  (বুধবার) উক্ত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বাছাইপর্ব সম্পন্ন হয় ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) পুরস্কার ফলাফল প্রকাশ ও পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রথম ৩ জনসহ মোট ৮ বিভাগের ২৪ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। ১ম স্থান অধিকার করেন সিলেট বিভাগের প্রতিযোগি আব্দুল্লাহ আল নোমান, ২য় স্থান অধিকার করে সিলেট বিভাগের প্রতিযোগী যুবায়ের আহমদ , ৩য় স্থান অধিকার করে চট্টগ্রাম বিভাগের মো. আশরাফ গুফরান।

অনুষ্ঠান শেষে মেহমানদের মাধ্যমে  ১ম স্থান, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীকে যথাক্রমে নগদ ২৫,০০০/-, ২০,০০০/-, ১৫,০০০/- এবং ৪র্থ ও ৫ম স্থান অর্জনকারীকে যথাক্রমে ১২,০০০/- ও ১০,০০০/- এবং ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারী প্রত্যেককে নগদ ৫,০০০/- টাকা পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এ ছাড়াও ১১তম থেকে ২৪তম প্রতিযোগিসহ সকল প্রতিযোগিদেরকে নগদ অর্থসহ ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সভাপতির সমাপনী বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

 

Exit mobile version