গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে আহত হওয়া আরেকজন মারা গেছেন। ৪২ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে ওই ব্যক্তি মারা যান বলে পরিবার থেকে জানানো হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মিজানুর সুমন। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর সুমন তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩০) ও তিন সন্তানকে নিয়ে চাঁদপুরে শ্বশুরবাড়িতে যান। এর তিনদিন বাদে তিনি ইজতেমা মাঠে যান।এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।১৯ ডিসেম্বর সুমনের পরিবার জানতে পারেন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। পরে সেখানে গিয়ে তার খোঁজ পান পরিবারের সদস্যরা।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্য কেন্দ্রে (আইসিউ) নেওয়া হয়। সেখানে ৪২ দিন লড়াইয়ের পর সুমন মারা যান।
সুমনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (সুমন) ইজতেমা মাঠে কবে কীভাবে গেছেন আমি জানি না। কয়েখজন ব্যক্তি তাকে ঢামেকের বারান্দায় ফেলে এসেছিল। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে তাকে পায়।’ কান্না করতে করতে এই নারী বলেন, ‘আমার এতিম ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আমি এখন কি করবো।’
স্থানীয়রা জানান, সুমন তাবলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। কোনো রাজনীতি করতেন না তিনি। এলাকায় ভদ্র হিসেবে তার সুনাম ছিল।
নিহত সুমন তাবলীগ জামাতের কোন পন্থীর অনুসারী তা জানা যায়নি। এমনকি, তার পরিবারও এ নিয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
সূত্র-যুগান্তর