বি দ্রঃ – আমি মুসলিমদের এই সব অপ সংস্কৃতি তুলে ধরি বলে এক শ্রেনীর মুসলিম রা আমাকে মুসলিম বিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে নিজেদের বিবেকে থাকা বোজা হালকা করতে চায়। কিন্তু সমস্যা হলো তাতে সত্য কিন্তু বদলে যায় না।
অন্যান্য ধর্মের যৌনতা নিয়ে কথা বলার আগে নিজেদের কর্মকাণ্ড গুলো দেখুন।
যৌনতা নিয়ে মুসলমান দের রক্ষণশীলতা সবারই জানা। আরও ভালো ভাবে বললে বলা যায় নারীদের যৌনতা নিয়ে এদের চরম রক্ষণশীলতা আছে। এদের কাছে নারীদের নগ্নতা এবং যৌনতা মানে নোংরা। অবশ্যই পুরুষদের নগ্নতা ও যৌনতা তে কিছু যায় আসে না। কোন নারী যদি একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌনতা করতে চায় তাহলে কোন বিচার ও দ্বিমত ছাড়াই তার ওপর “পতিতা”,”বেশ্যা” ইত্যাদি ট্যাগলাইন জুড়ে দেয়া হয়। এমন একটা ভাবভাব যেনো “পতিতা”,”বেশ্যা” ইত্যাদি তে এদের প্রচুর ঘৃণা।
কিন্তু মুসলিম বিশ্বে পুরুষরা নিজেদের যৌণ চাহিদা পূরণ করার জন্য সব রকম ব্যাবস্থাই করে রেখেছে। বহুবিবাহ, যৌণ দাসী ইত্যাদি। মুসলিমদের প্রায়ই দেখা যায় যে তারা পাশ্চাত্য সভ্যতার মুক্ত যৌনতা কে কটু কথা বলছে। কিন্তু মুসলিম বিশ্বে যে এই রকমই প্রথা আছে সেটা নিয়ে এরা নিরব। তফাৎ শুধু এটা যে মুসলিম বিশ্ব এতে বিবাহ নামটি জুড়ে দিয়েছে।
“নিকাহ মুত’আহ” বা “মুতা বিবাহ” জিনিষ টা কি?
পুরুষদের যৌনতা উপভোগ করার জন্যে মুসলিম বিশ্বে প্রচলিত এক বিবাহের নাম নিকাহ মুত’আহ” বা “মুতা বিবাহ” । এই প্রথা তে একজন পূরুষ অল্প সময়ের জন্যে কোনো নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করতে পারে। এই অল্প সময় কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক মাসও হতে পারে । সেটা মুতা বিবাহের আগেই ঠিক করে নেয়া হয়। আর এর জন্যে ওই পুরুষটি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ওই মহিলা কে দিয়ে থাকে। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে এই বিবাহ আপনার থেকেই আর জায়েজ থাকে না। তালাকও দিতে হয় না।
পুরোটাই বেশ্যা বৃত্তির মতো তফাৎ শুধু এই যে এতে ধর্মের সায় আছে । বিবাহ নামের শব্দ টি জুড়ে দিয়ে পতিতা বৃত্তি কে ধর্মীয় জায়েজ করা হয়। তারপরে পাশ্চাত্যের নারীদের মুন্ডু পাত করা হয় যে তারা এর ওর সঙ্গে যৌনতা করে বেড়াচ্ছে। ভাবুন এই দ্বিচারিতা।
বি দ্রঃ – পুরুষদের যৌনতা উপভোগ করার জন্য। নারীদের জন্য নয়। পুরুষ র বহু নারী ভোগ করলে এদের কিছুই বলা হয় না। নারীরা বহু পূরুষ ভোগ করলে তাদের “বেশ্যা” , “পতিতা” ইত্যাদি ট্যাগ জুড়ে দেয়া হয়।
“নিকাহ মুত’আহ” বা “মুতা বিবাহ” এর নামে নারীদের যৌণ শোষণ ও ধর্ষন করা।
মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলো যেমন ইরাক, ইরান, সিরিয়া, সৌদি আরব ইত্যাদি তে এই প্রথা কে ব্যাবহার করা হয় নারীদের যৌণ শোষণ করার জন্যে।
বিবিসি’র এক বিশেষ ইরাকি ও ব্রিটিশ দল বিষয়টি নিয়ে ১১ মাস অনুসন্ধান চালিয়ে, ধর্মীয় নেতাদের ছবি গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করে, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের সাথে যোগাযোগ করে, সেই সাথে সেইসব পুরুষদের সাথে কথা বলে যারা অস্থায়ী বিয়ের জন্য নারীদের পেতে ধর্মীয় নেতাদের টাকা দিতো। ১৫ বছরের যুদ্ধের পরে, আনুমানিক ১০ লাখ ইরাকি নারী বিধবা হয়ে পড়েন এবং আরও অনেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে যান বলে ধারণা করা হয়। বিবিসির দল জানতে পেরেছে যে দারিদ্র্যের কারণে অনেক নারী এবং মেয়েরা এই অস্থায়ী আনন্দ বিবাহ প্রথায় প্রবেশ করছে।
ডকুমেন্টারি দলটি প্রমাণ পেয়েছিল যে ইরাকের পবিত্রতম দুটি মাজার অঞ্চলে অস্থায়ী বিবাহ ব্যাপকভাবে প্রচলিত। উদাহরণস্বরূপ, বাগদাদে শিয়া মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাজার কাদিমিয়ায় ১০ জন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে তারা কথা বলেছিলেন। তাদের মধ্যে আটজন বলেছেন যে তারা অস্থায়ী বিয়ের ব্যবস্থা করবেন; পাঁচজন বলেছেন যে তারা ১২-১৩ বছর বয়সের একটি মেয়ের সাথে অস্থায়ী বিয়ে করাবেন। বিশ্বের বৃহত্তম শিয়া তীর্থস্থান কারবালায় বিবিসির এই দলটি চারজন ধর্মীয় নেতার কাছে যান। তাদের মধ্যে দু’জন অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে অস্থায়ী বিয়ে করাতে রাজি হন। চারজন আলেমকে গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিল। তিনজন বলেছেন যে তারা নারী সরবরাহ করবে, আর চারজনের মধ্যে দুজন বলেছেন যে তারা অল্প বয়সী মেয়ে সরবরাহ করবে।
বাগদাদের একজন আলেম সাইয়িদ রাদ বিবিসির গোপন প্রতিবেদককে বলেছিলেন যে শরিয়া আইনে অস্থায়ী বিবাহের কোনও সময়সীমা বেধে দেয়া হয়নি: “একজন পুরুষ তার যত খুশি নারীকে বিয়ে করতে পারবেন । আপনি আধা ঘণ্টার জন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন এবং যত তাড়াতাড়ি তা শেষ হবে, তাৎক্ষণিকভাবে আপনি অন্য আরেকজনকে বিয়ে করতে পারবেন।”
“নিকাহ মুত’আহ” বা “মুতা বিবাহ” এর নামে নাবালিকা নারীদের যৌণ শোষণ ও ধর্ষন করা
BBC এর অনুসন্ধানে ব্যাপক হতে নাবালিকা নারীদের যৌণ শোষণ ও ধর্ষনের কথা উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানকারীরা যখন সাইয়িদ রাদকে জিজ্ঞাসা করেন যে কোনও শিশুর সাথে অস্থায়ী বিয়ে করা গ্রহণযোগ্য কিনা, তখন ওই আলেম জবাব দিয়েছিলেন: “কেবল সতর্ক থাকতে হবে ওই শিশু যেন তার কুমারীত্ব না হারায়।”
তিনি আরও বলেন: “আপনি তার সাথে ফোরপ্লে করতে পারেন, তার সাথে শুয়ে থাকতে পারেন, তার শরীর, তার স্তনগুলো স্পর্শ করতে পারেন … আপনি তার সামনে থেকে সেক্স করতে পারবেন না বলে পায়ু পথে করতে পারবেন।”
মেয়েটিকে আহত হলে কী হবে, এমন প্রশ্ন জানতে চাইলে আলেম তাড়াহুড়ো করে জবাব দেন। “মেয়েটি ব্যথা নিতে পারবে কি পারবে না সে বিষয়টি আপনার এবং তার মধ্যকার ব্যাপার।”
কারবালার একজন আলেম শেখ সালাউইকে তদন্তকারী গোপন ক্যামেরায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কোনও ১২ বছরের কিশোরী কী মুত’আহর জন্য গ্রহণযোগ্য হবে?
“হ্যাঁ, নয় বছরের বেশি হলেই হবে- কোনও সমস্যা নেই। শরিয়া অনুসারে কোনও সমস্যা নেই,” তিনি বলেছিলেন।
সাইয়্যিদ রাদের মতো তিনিও বলেছিলেন যে একমাত্র বিষয় হল মেয়েটি কুমারী কিনা। সেক্ষেত্রে ফোরপ্লের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং নাবালিকা সম্মতি জানালে পায়ুপথে সেক্সও গ্রহণযোগ্য, তিনি আরও বলেন: “আপনি যা চান তা করুন।”
শিশুদের সাথে অস্থায়ী বিয়ের প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করার জন্য, এই প্রতিবেদক সাইয়্যিদ রাদকে ‘শায়মা’ নামে একটি কাল্পনিক ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর বর্ণনা দিয়েছিলেন যার সাথে তিনি অস্থায়ী বিয়ে চান। বাস্তবে মেয়েটির ভূমিকায় বিবিসির একজন সহকর্মী অভিনয় করেছিলেন।
সাইয়িদ রাদ ওই মেয়েটির সাথে দেখা করেননি বা তার পরিবারের সাথে কথা বলেননি। ছদ্মবেশী প্রতিবেদকের সাথে ট্যাক্সিতে বসে ফোনের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করতে রাজি হন তিনি।
তিনি মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করন: “শায়মা, তুমি কি তাকে বিয়ে করার ব্যাপারে আমাকে তোমার সম্মতি জানাতে রাজি হয়েছ এবং এক দিনের জন্য সে দেড় লক্ষ দিনার দেবে?” শেষে তিনি বলেন: “এখন আপনারা দুজনই বিবাহিত এবং আপনাদের এক সাথে থাকা হালাল।”
তিনি কয়েক মিনিটের আনুষ্ঠানিকতার জন্য গোপন প্রতিবেদকের কাছে ২০০ ডলার দাবি এবং কাল্পনিক ১৩ বছর বয়সের মেয়েটির কল্যাণের জন্য কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
“নিকাহ মুত’আহ” বা “মুতা বিবাহ” এর নামে মুসলিম বিশ্বে চলছে casual sex ।
আপনারা হয়তো ভাবেন casual sex মানে অপরিচিত মাহিলা বা পুরুষদের সঙ্গে সেক্স করা পাশ্চাত্য সভ্যতার উদ্ভাবনা। কিন্তু জানলে অবাক হবেন মুসলিম বিশ্বে casual sex কয়েক শত শত বছর ধরে চলে আসছে “নিকাহ মুত’আহ” বা “মুতা বিবাহ” এর নামে। তাহলে ভাবছেন casual sex নিয়ে মুসলিমদের এত এলার্জি কেনো। এলার্জি casual sex নিয়ে নয়। বিবাহের নামে মুসলিম পুরুষরা casual sex করেই থাকে । এদের সমস্যা টা হলো নারীরা কেন casual Sex করবে? যৌনতা উপভোগে করার অধিকার আল্লাহ শুধু পুরুষদেরই দিয়েছেন। পুরুষরা যৌনতা উপভোগ করল ধর্ম ও সমাজের কিছু হয় না। কিন্তু নারীরা যৌনতা উপভোগ করলে ধর্ম ও সমাজ নষ্ট হয়ে যায়। এটাই এদের বিশ্বাস।
দেখা যাক বিবিসির অনুসন্ধান এ আর কি কি পাওয়া গেছে। একজন বিবাহিত ব্যক্তি যিনি অপরিচিত নারীদের সাথে সহবাস করার জন্য আলেমদের মাধ্যমে নিয়মিত অস্থায়ী বিবাহ ব্যবহার করে থাকেন, তিনি বিবিসিকে বলছিলেন: “১২ বছর বয়সের এক শিশুর দাম অনেক বেশি কারণ সে এখনও নিখুঁত। তার জন্য অনেক খরচ করতে হবে- ৫০০, ৭০০ এমনকি ৮০০ ডলার-শুধুমাত্র ওই ধর্মীয় নেতাকেই দিতে হবে।”
তিনি বিশ্বাস করেন যে তাঁর এমন আচরণকে ধর্মীয় আচ্ছাদনে বৈধতা দেয়া হয়েছে: “যদি কোনও ধার্মিক লোক আপনাকে বলেন যে অস্থায়ী বিবাহ হালাল, তবে এটি পাপ হিসাবে গণ্য হবে না।”
নারী অধিকার কর্মী ইয়ানার মোহাম্মদ, যিনি পুরো ইরাক জুড়ে নারীদের আশ্রয়ের একটি নেটওয়ার্ক চালাচ্ছেন, বলেছেন যে মেয়েদেরকে মানুষের চেয়ে বরং ‘পণ্যদ্রব্য’ হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “তারা এই মেয়েদের নির্দিষ্ট উপায়ে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে তারা কুমারীত্ব টিকিয়ে রাখছে ভবিষ্যতে বড় ধরণের ব্যবসা করার জন্য,” তিনি বলেন। ‘বড় ধরণের ব্যবসা’ বলতে তিনি বিয়েকে বুঝিয়েছেন।
যেখানে একটি মেয়ের কুমারীত্ব হারিয়ে গেলে, তাকে বিবাহের অযোগ্য হিসাবে দেখা হয় এমনকি সে তার পরিবারের জন্য অসম্মান বয়ে আনার কারণে নিজ পরিবারের দ্বারা হত্যার ঝুঁকিতেও থাকে। তিনি বলেন, “সব সময় মেয়ে এবং নারীদেরই এর মূল্য দিতে হয়।”
ডকুমেন্টারি নির্মাতারা এই ধর্মীয় নেতাদের সাথে কথোপকথন গোপনে ক্যামেরায় রেকর্ড করেন যেখানে তারা বলেছিল যে তারা অল্প বয়সী মেয়েদের সরবরাহ করতে রাজি আছে।
বিবিসির এই দলটি একজন ভুক্তভোগীর সাক্ষ্যও নিয়েছিলেন, যিনি অভিযোগ করেছেন যে তাকে একজন ধর্মীয় নেতাই এই দেহ-ব্যবসায় ঠেলে দিয়েছে। এবং তার সাক্ষ্যের প্রতি অন্যান্যরাও সমর্থন জানিয়েছে।
দলটি গোপনে এমন একজন আলেমকে ক্যামেরায় ধারণ করেছিলেন যিনি ছদ্মবেশী প্রতিবেদকের সামনে একজন তরুণীকে ২৪ ঘণ্টার সম্ভাব্য অস্থায়ী বিয়ের জন্য হাজির করেছিলেন। এখানে মূলত ওই ধর্মীয় নেতা দালালের ভূমিকা পালন করছিলেন।
ছদ্মবেশী প্রতিবেদক যখন অস্থায়ী বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান, তখন ওই ধর্মীয় নেতা বলেন যে তিনি তার কোনও কিশোরী মেয়ের সঙ্গে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন কিনা। সেক্ষেত্রে তিনি তেমন কাউকে খুঁজে বের করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি মুসলিম বিশ্বের বহু ধর্মীয় নেতা অবশ্য “নিকাহ মুত’আহ” বা “মুতা বিবাহ” এর নামে এই পতিতা বৃত্তি কে নিন্দা করেছেন। যে রকম টা দেখা যায় মুসলিম বিশ্বের বাকি ক্ষেত্রে।
তথ্য সূত্র: