ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি মিয়া খান। তিনি প্রতিদিন ১২ কিলোমিটার বাইকে ট্রাভেল করেন তার তিন মেয়েসহ। জানেন কেন?
তিনি তার তিন মেয়েকে ১২ কিলোমিটার দূরে স্কুলে নিয়ে যান। তারপর সেখানেই বসে থাকেন। স্কুল ছুটি বলে তিনি আবার তাদের নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন । এটা এখন তার প্রতি দিনের রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে।
তার ভাষ্যমতে, “আমি মুর্খ ও নিরক্ষর, আমার মেয়েদের শিক্ষা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ন এবং আমাদের এলাকাতে কোন মেয়ে ডাক্তার নেই। তাই আমার ইচ্ছে আমার ছেলেদের মত আমার মেয়েরাও যেন শিক্ষিত হতে পারে।”
স্কুলের ক্লাসরুমে শিক্ষা নিচ্ছেন মিয়া খানের মেয়ে
এখন প্রশ্ন আসতে পারে এটা আর এমন কি? আসলে তা নয়। আমাদের দেশ বা পৃথিবীর সব দেশের মত এটা এখানে সাধারণ ব্যাপার নয়। কারণ দেশটির নাম আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানে মেয়েরা সমাজে এখন সেভাবে জায়গা পায়নি। এখনও তাদের দেশে মেয়েদের গৃহিনী হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে।
পাকটিকাতে বসবাসরত একজন মানুষ, যে স্থানে মেয়েদের প্রতি বিদ্বেষ অনেক বেশি। সেখানে সে মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলছে এটা সত্য কার অর্থেই আমাকে নাড়া দিয়েছে। যিনি অনেকে স্রোতের প্রতিকুলে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি তিনি সফল হবেন।