পাঁচটির বদলে আমি শুধু একটি দেশের কথাই লিখছি,
দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের খানিকটা মিল লক্ষ করা যায়। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনি জাপানকে পরাজিত করে জাপানিজ শাসন থেকে কোরিয়া কে স্বাধীনতা এনে দেয়। ১৯৪৫ এর ১৫ই আগস্ট কোরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। উত্তর কোরিয়াতে সোভিয়েত ইউনিয়ন আর চীন কিম জং উন এর দাদা কিম ইল সাং কে ক্ষমতায় বসায় এবং দক্ষিণে মার্কিনী সহযোগিতায় ১৯৪৮ সালের মধ্যে সাধারন নির্বাচনের মাধ্যমে সিংমান রী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
১৯৫০ সালে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে দখল করার চেষ্টা করলে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী কোরিয়ান যুদ্ধ যা দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে (৭১ পরবর্তী বাংলাদেশের মতো)। ১৯৫৩ সালে একটি এগ্রিমেন্ট সাইন হলেও অফিসিয়ালি সেই যুদ্ধ কোনদিনও শেষ হয়নাই, আজও চলমান।
৫০ এর দশকে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ কোরিয়া পৃথিবীর সবথেকে গরীব দেশগুলির একটি ছিলো। বাংলাদেশের মতো তারাও প্রথমে কৃষিনির্ভর ছিলো।
তাদের সর্বনিম্ন মাথাপিছু আয় ছিলো ১৯৫৫ সালে, ৬৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের সর্বনিম্ন মাথাপিছু আয় ছিলো ১৯৬০ সালে, ৮৯ ডলার।
দক্ষিণ কোরিয়ার মাথা পিছু আয় আজকে ৩০ হাজার ডলারেরও বেশি (বাংলাদেশের ২১০০ ডলারের মতো)।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দেশ দুটি একসাথে প্রায় একই অবস্থা থেকে শুরু করলেও আজকে উত্তর কোরিয়া বিশ্বের ১১৩ তম অর্থনীতি আর এরথেকে কম জনসংখ্যা নিয়েও দক্ষিণ কোরিয়া আজ ১২ তম বৃহৎ অর্থনীতি!
দুই কোরিয়ার মাথা পিছু আয়ের এই চার্ট দেখলে কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বের সাথে বর্তমানের ছবি দেখলেও অবাকই হবেন-
তাদের দেশে তেল/গ্যাস ইত্যাদি তেমন কোন খনিজ সম্পদ নেই যা তাদের উন্নতিতে সাহায্য করেছে, শুধুমাত্র সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব ও পরিশ্রমী নাগরিকদের কারণে আজ তারা এঅব্দি আসতে পেরেছে। সেজন্যেই ওদের দেখলে আমার আশা জাগে, যে ওরা পারলে হয়তো আমরাও পারবো।