ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে বাড়ির কলাপসিবল গেট লাগানোকে কেন্দ্র করে আইনজীবি ও শিক্ষক দু’ভাইয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া’র অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাদকাঠি বসুন্ধরা সড়ক সংলগ্ন দুই ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমির উপর পূর্ব নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট ভবনের নিচতলায় ভবনের মূল ফটকে কলাপসিবল গেট লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। এ বিষয় স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মৃত জিতেন্দ্র নাথ তালুকদারের দুই ছেলের মধ্যে ঝালকাঠি সরকারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক তাপস চন্দ্র তালুকদার ও ঝালকাঠি জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য বাসুদেব তালুকদারের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। সকাল আনুমানিক এগারোটার সময় তাপস চন্দ্র তালুকদার মিস্ত্রি নিয়ে তাদের ভবনের নিচতলার মূল ফটকে কলাপসিবল গেট নির্মান করছিলেন। নির্মান কাজ চলা অবস্থায় তাপস চন্দ্রের ভাই এ্যাডভোকেট বাসুদেব তালুকদার বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় তর্কবিতর্কের এক পর্যায় তাদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলেও জানাযায়। এ বিষয় ১ম পক্ষ তাপস চন্দ্র তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, তাদের মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারী ২০২২ তারিখ একটি লিখিত “আপোষ বন্টননামা” হয়। যার ৪নং দফায় উল্লেখ আছে “তিন তলা বাড়ির ১ম পক্ষের গ্রাউন্ড ফ্লোর এর সিড়ির গেট এবং কলাপসিবল গেট যৌথ খরচায় নির্মাণ করিবে। কেহ ইহাতে বাঁধা দিতে পারবে না।” তাপস চন্দ্র কলাপসিবল গেট নির্মাণ করতে গেলে ২য় পক্ষ এড. বাসুদেব তালুকদার তাতে বাঁধা প্রদান করেন। এসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং তাপস ও তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। বাসুদেব আইনজীবি হওয়ায় আমাকে মিথ্যা মামলা ও হামলা করার ভয় ভীতি দেখায়। আত্মীয় স্বজনসহ কেহ আমার পক্ষে কথা বললে তাদেরকেও মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত থাকায় লজ্জা শরমের ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না। তাদের বৃদ্ধ মা এবং ছোট ভাই মানস তালুকদারের কথাও মানছে না বাসুদেব। এছারাও আইনজীবি সমিতি ও পুলিশের কাছে বিচার দিলেও সে কারো বিচার ও শালিস রোয়েদাদ মানে না। এ বিষয়ে এড. বাসুদেব তালুকদার জানান, “কলাপসিবল গেট লাগাতে আমার অনুমতি গ্রহন করতে হবে। আমার অনুমতি ব্যতিত কলাপসিবল গেট লাগাতে দিবো না। সিড়ির অর্ধেক জায়গা আমার। আমার সিড়ির মধ্যে কলাপসিবল গেট লাগাতে দিবো না। অপরদিকে ছোট ভাই মানস তালুকদার বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে আপোষ বন্টননামা স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেখোনে উল্লেখ আছে কলাপসিবল গেট লাগালে কেহ বাঁধা দিতে পারবে না। তারপরও এড. বাসুদেব অন্যায়ভাবে বাঁধা দিচ্ছে। তাপস চন্দ্র তালুকদারের স্ত্রী মলিনা সরকার বলেন, আমরা নি:সন্তান হওয়ায় আমাদের সম্পত্তি এড. বাসুদেব তালুকদার জবর দখল করে খাওয়ার জন্য আমাকে ও আমার স্বামীকে মারধর করছে এবং হুমকি ধমকি দিচ্ছে। উল্লেখ থাকে যে, জিতেন্দ্র নাথ তালুকদারের পুত্র শিক্ষক তাপস চন্দ্র তালুকদার ও এ্যাডভোকেট বাসুদেব তালুকদারের মধ্যে পূর্ব থেকে বাড়ির ভাগ বাটোয়ারা ও বন্টন নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
এইচআরডব্লিউ পুলিশকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নির্দেশ রাজনৈতিক নেতৃত্বই দিয়েছিল
ঢাকা: ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনে পুলিশকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নির্দেশ সরাসরি রাজনৈতিক নেতৃত্বই দিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম স্বনামধন্য মানবাধিকার সংগঠন...