দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকা ও ডিজিটাল ডিভাইস ফেইসবুক এবং
অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে দেশের মানুষের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন
দিনাজপুরের মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। তিনি সমাজের একজন দানশীল, সমাজ সেবক,
শিক্ষানুরাগী, ব্রীজ মাস্টার, লৌহমানব উপাধিতে ভুষিত হয়েছেন। ফলে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী
দিনাজপুরের মানুষের কাছে একজন প্রিয় মানুষ। শুধু দিনাজপুর নয় তার উন্নয়ন মূলক কাজের
ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে অনেকেই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
জানিয়ে তার সুস্থ্য ও দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করেছেন। দিনাজপুরের একজন প্রতিষ্ঠিত কর্মবীর
লৌহমানব উপাধিতে ভূষিত বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ১৯৫৭
সাল হতে অদ্যাবধী জীবনের গোধুলীলগ্নে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এ সমস্ত
কার্যক্রমের জন্য এলাকার মানুষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে লৌহমানব ও ব্রীজ মাস্টার উপাধিতে
ভূষিত করেছেন। মোহম্মদ আলী চৌধুরী একজন অরাজনৈতিক মানুষ হয়েও যেভাবে সমাজের
পিছিয়ে পরা শিক্ষার্থী, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাড়াতে শিখেছেন সে কারনে
দিনাজপুর বাসী মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর নাম তাদের হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর কর্মময় তালিকায় রয়েছে, ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি, অসহায় পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নেয়া এবং মেধাবী অসুস্থ
শিক্ষার্থীর চিকিৎসা প্রদানে ব্যয় বহন করা, পল্লী বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন অনুমোদন এবং
প্রতিষ্ঠা করনসহ বহুমুখি উন্নয়ন মুলক কাজ-কর্মে নিজ অর্থ ব্যয়ে এসকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন
ও প্রকল্পের অনুমোদন নেয়ায় যেনো মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর নেশা।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সাফল্যে থাকা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ বর্তমানে
প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপিঠ। ১৯৮০ দশকের শেষ দিক থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ আলী চৌধুরী
কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থেকে অত্র
প্রতিষ্ঠানটির জন্য যে অবদান রেখেছেন তা আজ দৃশ্যমান। তিনি একে একে গড়ে দিয়েছেন
শিক্ষক কমন রুম, বিজ্ঞান ল্যাবরেটরি। আরডি আরএস এর মাধ্যমে এবং কর্মকর্তা গোলাম
কিবরিয়া (কচি)’র সহায়তায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিবের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে সেই মোতাবেক
দরখাস্ত দাখিলের মাধ্যমে দো-তলা স্কুল বিল্ডিং নির্মাণ করে নিতে সক্ষম হোন। জেলা পরিষদ সচিব
বরাবর দরখাস্ত দিয়ে ছাত্রীদের কমন রুম নির্মাণ সম্পন্ন করেন। সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ২৫/০৯/২০০৭ সালে তিনি দরখাস্ত দাখিলের মাধ্যমে বর্তমানে অত্র
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চতুর্থ তলা কলেজ ভবন নির্মিত হয়েছে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি
শ্রেণি কক্ষে বৈদুতিক পাখা ও বাল্ব সংযোজনসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য স্কুল
ইউনিফর্ম পান তাঁরা। যার সুত্র ধরে, জেলাবাসী এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দের
দাবী অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কলেজ ভবনটি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর নাম করন করা হোক।
জানা গেছে, কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের জমি অধিগ্রহণ করার কারণে জমির মালিক সাবেক
এসডিও এর নাজির আব্দুস সাত্তার বনাম কলেজিয়েট গার্লস স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে জমির মূল্য
নির্ধারণ করণের লক্ষ্যে দিনাজপুর জেলা মুনসেফ আদালতে এবং পরে জেলা সাব জজ কোর্টের
মামলায় কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ হেরে যায় এবং বাদী আব্দুস সাত্তার অর্থ
ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। মামলাটি চলে প্রায় ৭/৮ বছর। এমনতাবস্থায় জেলা প্রশাসক এবং জিবি
সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে দায়িত্ব দেন মামলার সকল ঝামেলা
মিটিয়ে জমির মালিক আব্দুস সাত্তারকে তার প্রাপ্য টাকা তাকে বুঝিয়ে দিতে। সেই
মোতাবেক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক গুল বেগম, সদস্য হাফিজুল্লাহ
এবং শিক্ষক প্রতিনিধি মরহুম মোঃ মফিজ উদ্দীনকে নিয়ে মিশনরোডে আব্দুস সাত্তারের
বাড়ীতে যান এবং কিস্তি মোতাবেক তার দেনার অর্থ পরিশোধ করা হবে তা জানিয়ে দেয়া হয়।
এমনতাবস্থায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর গৃহিত কার্যক্রমের ভিত্তিতে কলেজিয়েট গার্লস স্কুল
জমি অধিগ্রহণ মামলা নিষ্কৃতি লাভ করে। সকল ঝামেলা অন্তে সে সময়ের দিনাজপুর জেলা
প্রশাসক মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান। মোহাম্মদ আলী চৌধুরী যখন গভর্নিং
বর্ডির সদস্য পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের সার্বিক অবস্থা
নাজুক এবং শোচণীয় ছিলো। মূলত এসময় অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের লেখাপড়া করার জন্য
প্রয়াজনীয় শ্রেণি কক্ষের অভাব ছিলো। শিক্ষকবৃন্দের বসার জন্য কমন রুম ছিল না। একটি কক্ষে
প্রধান শিক্ষার্থী, পুরুষ শিক্ষক, অফিস সহকারী এবং আয়া পিয়নরা বসতো। একটি শ্রেণি
কক্ষের এক পাশে শিক্ষার্থীবৃন্দ বসতেন। অপরদিকে ছাত্রীবৃন্দ সাইন্স ল্যাবরেটরীতে ক্লাস করতো। এ
বিষয়গুলি অবগত হয়েছেন এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্য তিনি জেলাবাসীর পক্ষে কার্যক্রম
গ্রহণ করেন। এসময় সাবেক এডিসি (রাজস্ব) একেএম আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এক সভায়
জিবি সদস্য মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর প্রস্তাবে কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে কলেজ সংযোজন
প্রস্তাব সর্ব সম্মতিক্রমে পাশ হয়। তবে সভায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে কলেজ বিল্ডিং
নির্মাণের সকল প্রকার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। মোহাম্মদ আলী চৌধুরী কলেজিয়েটে কলেজ
শাখার জন্য পৃথক কলেজ বিল্ডিং নির্মাণের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এবং সেই দায়িত্ব
রাক্ষার্থে তিনি স্বার্থক হন। বর্তমানে কয়েজিয়েট গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে একটি ৪ তলা
বিশিষ্ট কলেজ ভবন নির্মিত হয়েছে।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ফেসবুকে সাহাজ্যের আবেদন দেখে, “ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি
কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী দশমী রায় বাঁচতে চায়”। ফেসবুকে লেখা দেখে দশমীর পরিবারের খোজ
নিয়ে দশমী রায়ের চিকিৎসার জন্য কয়েক ধাপে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা
আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এরপর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে দশমী তার বাসায় ফিরে এলে
তার পরিবারসহ এলাকাবাসী মোহাম্মদ আলীর চৌধুরীর জন্য দোয়া ও আর্শিবাদ করেন। এরই
কিছুদিন পর গত ১৩ মে সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে দশমীর মৃত্যুর খবর পান মোহাম্মদ আলী
চৌধুরী। দশমীর মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বাস করতে পারছিলেন তিনি যে, দশমী রায় চিকিৎসা নিয়ে
সুস্থ্য হয়ে মারা গেছেন। দশমীর মৃত্যুর খবর সত্য হওয়ায় মোহাম্মদ আলী গভীর ভাবে শোকাহত
হয়েছেন। এছাড়া এলাকার ও জেলার বহু অসুস্থ্য মানুষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর অর্থ সাহায্যে ও
সেবা যত্ন পেয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন।
তার এ অক্ষয় অবদান সাধারণ মানুষ মর্মে মর্মে অনুভব করে আসছে। যা তাকে স্মরনীয় করে
রেখেছে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ যে, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী তার কর্মময় জীবন কে বিদ্যানুরাগী ব্যাক্তি
হিসেবে প্রকাশিত করার লক্ষ্যে রাজারামপুর সরফ উদ্দিন হাই স্কুল, ফুলবাড়ী থানার রামভদ্রপুর হাই
স্কুল, দৌলতপুর গার্লস হাই স্কুল সেই সাথে ১৯৮০ দশক থেকে জেলা শহরের দিনাজপুর কলেজিয়েট
গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাবেক সুরনাথ কলেজের
টিনসেট বিল্ডিং থেকে একটি পুর্নাঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর
অসাধারণ কর্মসাধনায় একটি প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপিঠে রূপ নেয়।
১৯৬৩ সালে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর পিতা সাবেক এমএনএ নুরুল হুদা চৌধুরী সাহায্য কারী
হিসেবে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী দিনাজপুর জেলার থানা পর্যায়ে প্রথম ফুলবাড়ী ডিগ্রি
কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেন এবং তা প্রতিষ্ঠিত হয়। যা হালে ২০১৯-২০২০ সালের
মধ্যেজ মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের ৬ টি বিষয়ে অনার্স
কোর্স চালু করা হয়। এর সুত্র ধরে, ফুলবাড়ী সরকারী কলেজে মাস্টার্স কোর্স চালুর লক্ষ্যে জাতীয়
বিশ্ব বিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর দরখাস্ত দাখিলের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন মোহাম্মদ আলী
চৌধুরী। তার কার্যক্রম সম্পন্ন করনের মাধ্যমে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর কর্মময় জীবনের দীর্ঘ
পথ কার্যক্রমের পরিসমাপ্তি ঘটবে বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিশেষ প্রচেষ্টায় আমডুঙ্গিহাট সংলগ্ন স্থানে ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে
ব্রীজ নির্মিত হলেও সেই স্থানে জনস্বার্থে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক
কর্তৃক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে জাফরপুর ব্রীজের
এপ্রোচ রোডের জন্য ০.২৯ একর জমি অধিগ্রহন করা হয় এবং অধিগৃহিত জমির উপর থেকে
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে রাস্তা নির্মিত করা হয়। এজন্য সাধারণ মানুষের মাঝে
মোহাম্মদ আলী চৌধুরী স্মরনীয় হয়ে রয়েছেন। মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর একক প্রচেষ্টায় জেলার
ফুলবাড়ী উপজেলার জাফরপুর বৃহৎ ব্রীজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। নির্মিত সেই ব্রীজের
নাম ফলকে দেয়া ছিল মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর নাম। সেই ফলকটি বর্ষার কারনে ভেঙ্গে পড়ে।
পুনরায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর নামে ফলকটি নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন
দিনাজপুরবাসী।
অপরদিকে পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলাধীন শিবনগর, হামিদপুর ও হাবড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর
ফুলবাড়ি এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় গভীর, অগভীর নলকূপ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করেন
তিনি। সেই সাথে তাঁর প্রচেষ্টায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ প্রতিষ্ঠিত হয়। যার প্রধান
কার্যালয় স্থাপিত হয় ফুলবাড়ী উপজেলার জয়নগরে।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর কর্মময় জীবনের উষালগ্নে ১৯৫৭ সালে ফুলবাড়ী পোস্ট অফিস এর
পরিবর্তে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর নিজ গ্রাম ফুলবাড়ী শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুরে
পোস্ট অফিস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাবেক পোস্ট মাস্টার জেনারেল বরাবর লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে তার
কর্মময় জীবন শুরু করেন। সেই সুত্র ধরে ১৯৬১ সালে রাজারামপুর পোস্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর নিজ গ্রাম রাজারামপুর থেকে শুরু করে শিবনগর, হামিদপুর ও
হাবড়া ইউনিয়নের ২০ টি গভীর নলকূপে পিডিপি বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে বিদুৎ সংযোগদান
করত পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও বিরামপুর উপজেলাকে কেন্দ্র করে পল্লী বিদ্যুৎ
সমিতি-২ প্রতিষ্ঠা করেন যার প্রধান কার্যালয় জয়নগরে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফুলবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ
সমিতি-২, জাফরপুর বৃহৎ ব্রীজ, খশেরবাড়ী ব্রীজ, ফুলবাড়ী দ্বিতীয় ব্রীজ, নির্মাণ করনে যথাযথ
কর্তৃপক্ষ বরাবর দরখাস্ত দাখিল এবং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ব্রীজ গুলির নির্মান কাজ সমাপ্ত
করা হয়। সেই সাথে প্রধান প্রকৌশলী এলজিইডি ও সচিব যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে বরাবর
দরখাস্ত দাখিলের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
এছাড়া এলজিইডির মাধ্যমে ফুলবাড়ী ময়দা মিল থেকে শুরু করে রাজারামপুর, আমডুঙ্গীহাট,
পাঠকপাড়া হাট, কালিহাট হয়ে বাড়াইহাট পাকা রাস্তা সংযোগ প্রায় ১৬ কিঃমিঃ রাস্তা পাকা
করন ও প্রায় ১৮ টি কালর্ভাট ব্রীজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। ফুলবাড়ী শহরের ব্রীজের কাজ
অর্ধ নির্মিত হয়ে বিগত সরকার আমলে বন্ধ হয়ে যায় পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সাবেক
উপদেষ্টা বরাবর দরখাস্তের মাধ্যমে অর্ধ সমাপ্তিত ব্রীজের নির্মাণ কাজ মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর
মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সহযোগিতায় জনবহুল ফুলবাড়ী উপজেলা শহরে মধ্যস্থিত রাংগামাটি,
বিজিবি, ব্যাটালিয়ান হেড কোয়াটার ও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পে মোহাম্মদ আলী
চৌধুরী সহ তাঁর ৮ ভাইয়ের প্রায় ১০০ একর জমি অতিস্বল্প মূল্যে সরকার অধিগ্রহণ করতঃ
সেখানে জাতীয় স্বার্থে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজারামপুর সরফ উদ্দীন হাই স্কুল
ও গ্রাম সংলগ্ন জাফরপুর ঘাটে ব্রীজ নির্মাণ, খয়েরবাড়ী ব্রীজ পুনঃ নির্মাণ। ফুলবাড়ী শহরের
ব্রীজ নির্মান কাজ বিগত সরকার আমলে অর্ধ সমাপ্তিত হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক
উপদেষ্টা বরাবর লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে অর্ধনির্মিত ব্রীজটি পুননির্মান করা সম্পন্ন করা
হয় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর মাধ্যমে।
উল্লেখ, ১৯৫৭ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর প্রচেষ্টায়
এবং কর্মসাধনায় উল্লেখিত যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এগুলো বাস্তবয়ন করার লক্ষ্যে
তিনি কোন ভাবে কারো কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা গ্রহণ করেন নি। বিশিষ্ট
সমাজসেবী মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর একক প্রচেষ্টায় আরও অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন
হয়েছে।
উপকারভোগীদের মন্তব্য, নিঃস্বার্থ উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে এলাকাবাসীর ভালোবাসা
পেয়েছেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। দিনাজপুরের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেন মোহাম্মদ আলী
চৌধুরী (বাদশা চৌধুরী)। এলাকার মানুষ যে কোন প্রয়োজনে ডাকলেই মোহাম্মদ আলী
চৌধুরীকেই পাশে পাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে বিশিষ্ট সমাজ সেবক
লৌহমানব মোহাম্মদ আলীকে পুরস্কৃত করবেন এটাই দিনাজপুরবাসীর জোরদাবী।