অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ লেখক ও গবেষক সায়েক এম রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন শাহানা সুলতানা। স্মারক সম্মাননা তুলে দেন এডভোকেট নুরুন্নবী উজ্জল। সংগঠনের মগ তুলে দেন সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন। তার লেখা অবরুদ্ধ বাংলাদেশ বইটি সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসার হাতে তুলে দেন। এসময় তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমি সত্যিই অভিভুত ও আনন্দিত। জুলাইয়ের ২৪’র পর যে নতুন বাংলাদেশ সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। তিনি যারা জুলাই গণঅভূত্থানে শহীদ হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডন প্রবাসী ড. এম এ আজিজ এর প্রতি। তিনি বলেন, আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। তিনি খুবই অসুস্থ। তার হাত ধরেই আমার এই সংগঠনে আসা। আমাদের অনুপস্থিতিতেই ফ্যাসিবাদী আমলে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি অবরুদ্ধ বাংলাদেশ এবং একটি ভোরের প্রতিক্ষা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করে আমাদের কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। আমি সেই সময় অবরুদ্ধ বাংলাদেশে যে লেখাগুলো ছাপিয়েছিলাম তার ৭০ ভাগ লেখা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেই জন্য দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রতিও আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট নুরুন্নবী উজ্জল বলেন, বিদেশের মাটিতে বসে সায়েক এম রহমানদের মতো দেশপ্রেমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবদান রেখেছিলেন বিধায় আমরা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে হাটাতে পেরেছি। তবে এখনও চারদিকে ফ্যাসিবাদীর দোসররা আনাগোনা করছে। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে রুখে দিতে হবে। কোনভাবে তাদেরকে ক্ষমা করা যাবে না, কারণ তাদের হাতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ লেগে আছে।
আজ বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভোলা জেলা জাতীয় মানবাধিকার সমিতির অফিস উদ্বোধন করলেন মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা। এসময় জাতীয় মানবাধিকার সমিতির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সেলিম আহমেদসহ ভোলা জেলা মানবাধিকার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকলকে অভিনন্দন জানান।