গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চারটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় থানায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। মামলায় মোট ১০ জনের উল্লেখ করে ৫৮০ হতে ৭৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ফলে চার গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। ছিনতাই হওয়া ৬টি ব্যালট বাক্সের মধ্যে পুলিশ ইতিমধ্যে ৫টি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। স্থগিত হওয়া ভোট কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স এখন থানায় রয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার থানায় মামলা করে। গত রবিবার ভোট চলাকালিন সময় উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বৌলজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১২ রাউন্ড গুলি করে পুলিশ। এতে ২জন পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়। এনিয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বানিজ মিয়া থানায় মামলা করে। মামলায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ হতে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ভোট গণনার পূর্ব মুহুত্বে উপজেলার বজরা কঞ্চিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ব্যালট পেপারসহ ৬টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়। এ নিয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আশরাফুজ্জামান ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০ হতে ৯০ জন অজ্ঞানামা আসামি করে মামলা করে। ভোট গণনা শেষে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণকারি কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ক্ষতি সাধন করে স্থানীয়রা। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুর রউফ মিয়া ১ জনের নাম উল্রেখ করে ২০০ হতে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। এছাড়া উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য হাতিবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় ভোট কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুর করলে কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম ১ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ হতে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে থানায় মামলা করে। বজরা কঞ্চিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের পর গণনার আগে পরিকল্পিত ভাবে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে দুবৃর্ত্তরা। সুন্দরগঞ্জ থানা সুত্রে জানা যায় ছিনতাই হওয়া ব্যালট ও ৫টি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে। ১টি ব্যালট বাক্স এখনও উদ্ধার হয়নি। উপজেলা নিবার্চন অফিসার সেকেন্দার আলী বলেন, নিবার্চন কমিশনের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসারগণ মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।