নারায়ণগঞ্জের একুশের বইমেলায় অনাড়ম্বপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মুক্তিসরনী লেখক আড্ডা। ২৪ জানুয়ারী সন্ধায় প্রায় অর্ধশতাধিক কবি, লেখক, নাট্যকর্মী ও শিল্পীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত বইমেলার ২নং স্টলে এ আড্ডাটি অনুষ্ঠিত হয়। আড্ডায় স্বরচিত লেখা পাঠের পাশাপাশি সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা এবং সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এ বিষয়ে লেখক আড্ডার আয়োজক মুক্তিসরণি লিটলম্যাগের সম্পাদক মেহেদী সম্রাট বলেন, নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাসের জনপদ নয়। প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে পরিচিত প্রাচীন এই নগরী শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিরও চারণভূমি -এই কথাটিই আমরা দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিতে চাই। সেই লক্ষেই এই আয়োজন। ভবিষ্যতেও মুক্তিসরণির এই অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। অতীতে একটি গোষ্ঠি নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে দেশব্যাপি পরিচিত করিয়েছিল, নারায়ণগঞ্জে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। সময়ের ব্যাবধানে আজ সেই আধিপত্যবাদী অপশক্তিকে টর্চলাইট জ্বালিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটাই নিয়তি। লেখক ও সাংবাদিক মেহেদী সম্রাট আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে বইমেলা আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এমন বিবর্ণ মেলাও আমাদের কাম্য নয়। এখানে বইমেলা হবে এটি শহরবাসীকে জানান দেয়া জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব। বইমেলা কিভাবে আরও জমজমাট করা যায় সে বিষয়ে জেলার গ্রহণযোগ্য ও অভিজ্ঞ কবি-লেখক-প্রকাশকদের সাথে জেলা প্রশাসন আলোচনা করতে পারত। আগামীতে এই বইমেলা আয়োজনের আগে জেলা প্রশাসন বিষয়গুলো আমলে নেবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের ডাকলে আমরাও প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। জেলা প্রশাসন আয়োজিত বইমেলা প্রাঙ্গণে মুক্তিসরণির স্টলে মুক্তিসরণি সাহিত্য সংঘের আহ্বানে এই লেখক আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক লেখক ও কথা সাহিত্যিক সাব্বির আহমেদ সেন্টু, তুষারধারা’র প্রকাশক ও লেখক আমিনুল ইসলাম মামুন, রৌদ্রছায়ার প্রকাশক ও লেখক আহমেদ রউফ, মানব কল্যান পরিষদের চেয়ারম্যান ও লেখক এম এ মান্নান ভূঁইয়া, নাট্যকর্মী ও লেখক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, শফিকুল ইসলাম আরজু,ডা. বশির আহমেদ তুষার, বদরুল আলম,নারায়ণগঞ্জ জেলা সাহিত্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন রোমেছ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক ও লেখক নিরব রায়হান, জাহাঙ্গীর হোসেন,হারুন অর রশিদ সাগর, মামুন বাবুল,এস এ বিপ্লব,ওমর ফারুক আল মামুন, মো. বশির উদ্দিন, ইলমা মিতু, গিয়াস উদ্দিন খন্দকার, ফয়সাল রায়হান, বদিউজ্জামান, মো. শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল, নাট্যকর্মী ও সংগঠক মো. বশির খান, লুবনা আক্তার সুমি, কন্ঠশিল্পী রিয়া খান, জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, তানভীর হোসেন অভি, খোকন রাজ, প্রেমা রাহমান মন সহ প্রায় অর্ধশতাধিক কবি, লেখক, নাট্যকর্মী ও শিল্পীবৃন্দ।
জালিয়াপালং ইউনিয়নের চৌকিদার আবু ছিদ্দিক’র বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা
বেলাল আজাদ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার আবু ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন...